বান্দরবানে একটি ফুটবল খেলা শেষে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পুরস্কারের ট্রফি ভাঙার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় সেই ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ইউএনওসহ সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ প্রশাসনের যে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিটি ঘটনার পৃথক তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বান্দরবানে একটি ফুটবল খেলা শেষে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পুরস্কারের ট্রফি ভাঙার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ওই মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদমের ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। খেলার সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত জনগণের সামনেই ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি। এ ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, খেলা শেষে মাঠে ইউএনও যখন ট্রফি বিতরণের জন্য বক্তব্য রাখছিলেন তখন খেলোয়াড়রা ফলাফল নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। এক সময় বক্তব্য দিতে গিয়ে ইউএনও অতিথি ও খেলোয়াড়দের সামনেই ট্রফিগুলো ভাঙেন এবং সামনে ছুড়ে মারেন।
এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন খেলা শেষে ফলাফল নিয়ে বিজয়ী ও বিজিত দলের খেলোয়াড়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতেই ট্রফিগুলো ভেঙে ফেলেন তিনি।
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ীদের নিয়ে সারা দেশে যখন উল্লাস চলছে ঠিক এমন সময়েই একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অত্র এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।