রাজবাড়ী-২ আসনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী গুঞ্জন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)-এর নেতারা।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম এক বিবৃতিতে বলেন,
“রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা অবশ্যই থাকবে, তবে তা হতে হবে শিষ্টাচারের মধ্যে। এনডিএম-এর নিবেদিতপ্রাণ, রাজপথে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নির্ভীক কণ্ঠস্বর আমাদের মহাসচিব মোমিনুল আমিন ভাইকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে গণমানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী—এই কণ্ঠ কখনোই ধামাচাপা দেওয়া যায় না।”
তিনি আরও বলেন, এনডিএম-এর মাননীয় চেয়ারম্যান জননেতা ববি হাজ্জাজ সবসময় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, এবং তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। যারা এই নোংরা খেলায় মেতেছে, তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই—নোংরা রাজনীতির দিন শেষ, সময় এসেছে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।”
রাজবাড়ী-২ আসনের প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন, এই অঞ্চলের জনগণ জানে—মোমিনুল আমিন ভাই টানা ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়ে যাচ্ছেন। রাজপথ তার সাক্ষী, আমরাও তার সাক্ষী। তিনি শুধু এনডিএম নয়, গণমানুষের প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতির মাটিতে সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।”
এ সময় তিনি এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের ফেসবুক স্ট্যাটাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,
“জীবনে ১ ঘণ্টার জন্যও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বা তাদের কোনো অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের সদস্য ছিলাম, কিংবা তাদের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি—এমন প্রমাণ করতে পারলে আমি হাসিমুখে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ২০১৮ ও ২০২৪ সালের অনেক নেতা বর্তমানে জাতীয় নেতৃত্বে আছেন—তাঁদের মধ্যে অনেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন। কিন্তু তাঁরা লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি না করে ফ্যাসিবাদের পতনের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি আমার প্রোফাইলেই রয়েছে—সেগুলো পেশাগত কারণে তোলা, তৎকালীন মন্ত্রী বা র্যাবের ডিজির সঙ্গে সরকারি দায়িত্ব পালনের সময়ের। এসব ছবি বিকৃত করে যারা আমাকে ‘আওয়ামী লীগ’ বানাতে চায়, তারা আসলে তাঁদের প্রিয় অভিভাবকের মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার আশায় চরিত্রহননের নোংরা খেলায় নেমেছে।
আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইচ্ছাকৃত চরিত্রহননের আইনি প্রতিকার রয়েছে। আমার রাজনৈতিক জীবনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অসংখ্য ছবি, ভিডিও, টকশো ও বক্তব্য সেই ধারাবাহিকতার সাক্ষ্য বহন করে। যারা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা কখনো তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে।”
শেষে ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অন্ধকারের এই সময় কেটে যাবে। গণমানুষের বিজয়ের মালা শেষ পর্যন্ত জনগণই পরাবে—আর রাজপথই তার সাক্ষ্য দেবে।”