রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সুবিধার্থে আগামী মাসে ইলেক্ট্রনিক-কার (ই-কার) সেবা চালু হতে যাচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া) এ উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২ বছরের ইতিহাসে প্রথম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের পর এটিই আমাদের প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ই-কারের ব্যবস্থা করব। আমরা আশা করি, এটা স্বল্প সময়ের মধ্যে, ইনশা আল্লাহ মাসখানেকের মধ্যে আমাদের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।’ কতটি ই-কার চালু করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন ও অ্যালামনাইয়ের সামর্থ্যকে সমন্বয় করেই ই-কারের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে ই-কার চালুর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খুব শিগগিরই মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বা বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এ–সংক্রান্ত একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অ্যালামনাইয়ের একটি পুনর্মিলনী আয়োজন করার জন্যও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হলের ডাইনিংয়ে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারেও আমরা খুব সিরিয়াসলি আলোচনা করেছি এবং এটা বাস্তবায়নের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করব।’
রফিকুল ইসলাম খান তাঁদের পূর্ববর্তী কার্যক্রম উল্লেখ করে বলেন, ‘গত মাসে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা রুয়ার পক্ষ থেকে ১০টি বাস সরবরাহ করেছিলাম। ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করেছেন।’ ভবিষ্যৎ–পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অ্যালামনাইয়ের নিজস্ব ভবন নির্মাণ এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানেও পর্যায়ক্রমে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সব চিন্তার সঙ্গেই অর্থ জড়িত। আমরা যদি অর্থ সংগ্রহ করতে পারি, অনেক কিছুই করতে পারব।’