রাবি ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস


স্টাফ রিপোর্টার : , আপডেট করা হয়েছে : 13-10-2025

রাবি ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর আদালত ১১৪ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এ চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম সাংবাদিকদের জানান, “সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে খালাস দিয়েছেন।”

মামলার মোট ১১৪ আসামির মধ্যে ৯ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। জীবিত আছেন ১০৫ জন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল এলাকায় ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায় একটি ম্যানহোলে।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৩৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে প্রায় আড়াই বছর পর, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই পুলিশ আদালতে ১২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সম্পাদক মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হলের সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলামসহ মোট ১১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম বলেন, “রায়ে খুশি-অখুশি এখনই বলা যাবে না। আগে পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেয়ে বিস্তারিত দেখে মন্তব্য করতে হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, মামলাটি করার সময় প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অন্যদের আসামি করা হয়েছিল।”

প্রসঙ্গত, এ মামলার অনেক আসামিই ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী ছিলেন।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার