চিতলমারীতে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। গেল বছর ইরি-বোরো ধানে ফসল ভালো না হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
এতে চলতি মৌসুমে বেড়েছে খড়ের দাম। প্রতি কেজি খড় বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে।
সরোজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিতলমারীতে চিংড়ি ও সবজি চাষের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে খামার ও পরিবার ভিত্তিক গরু পালন করা হয়। গত চৈত্র মাসে বিলাঞ্চলের বেশিরভাগ জমির ইরি-বোরো ধান লবণাক্ততার কারণে পচন রোগে নষ্ট হয়েছে। ধান না হওয়ার কারণে এ বছর দেখা দেয় খড় (কুটা) সংকট। এতে খামারিরা বেশিরভাগ ঘের, খালপাড়, ও বিলের ঘাস কেটে পশুদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের কারণে বিলে ঘাসও পাওয়া যাচ্ছে না। ঘাস না পাওয়ায় বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কচুরিপানা।
শ্রীরামপুরের খামারি নিমাই মন্ডল বলেন, আমার গোয়ালে তিনটি গরু আছে। আমার যে খড় আছে তাতে ১৫ দিনের মত যাবে খেতে পারবে। ঘাসের বিকল্প হিসেবে দুধওয়ালা গাভীকে কচুরিপানা খাওয়াচ্ছি। কচুরিপানা খাওয়ানোর কারণে বেশিরভাগ খামারিদের গরু রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে।
একই গ্রামের প্রভাষ বালা বলেন, আমি ১৮টি গরু নিয়ে খামার করেছি। বিলে কোনো ঘাস নেই। কচুরিপানার পুষ্টি নেই জেনেও গাভীদের কচুরিপানা খাওয়াচ্ছি। খাদ্য সংকটের কারণে দুধ কমে গেছে। অন্য বছর থেকে এ বছর খড়ের দাম বেশি।