ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আগে থেকেই ছিলেন। আল নাসর এরপর কোচ হিসেবে পর্তুগিজ জর্জ জেসুসকে দলে ভিড়িয়েছে। এবার পর্তুগালের ‘নতুন রোনালদো’ খ্যাত জোয়াও ফেলিক্সকেও দলে ভেড়াচ্ছে সৌদি এই ক্লাবটি। তাতে যেন ‘মিনি পর্তুগাল’ই হয়ে উঠছে আল নাসর।
রোনালদো দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গেল মৌসুমের শেষে। তবে শেষমেশ নতুন চুক্তি সই করেছেন পর্তুগিজ এই তারকা। এরপর থেকেই দলবদলের বাজারে বেশ সক্রিয় দলটা। এবার তারই ধারাবাহিকতায় পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ফেলিক্সকে দলে নিতে যাচ্ছে সৌদি প্রো লিগের এই ক্লাব।
স্কাই স্পোর্টসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৪৪ মিলিয়ন পাউন্ডে এই চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে। দিনদুয়েকের মধ্যেই ফেলিক্সকে নিজেদের করে নিতে চলেছে তারা।
ফেলিক্স ক্যারিয়ারের শুরুতে পরিচিত ছিলেন ‘নতুন রোনালদো’ হিসেবে। ২০১৯ সালে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করে বেনফিকার কাছ থেকে তাকে নিয়ে গিয়েছিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। তবে এরপর তিনি তার তকমার ভারটাই যেন নিতে পারেননি। আতলেতিকোয় কয়েক দফায় ৯৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৫ গোল। এরপর থেকে যে দলেই খেলেছেন, দুই অঙ্কের গোল আর করতে পারেননি তিনি।
২০২৩ সালে ধারে চেলসিতে আসেন। এরপর চেলসি তাকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ডে স্থায়ীভাবে কিনে নেয়। তবে চেলসির প্রথম একাদশে নিজেকে ঠিকমতো প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি তিনি।
গত মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগে ফেলিক্স ধারে খেলেছেন এসি মিলানে। সেখানে ১৯ ম্যাচে তিনটি গোল করেন। এই ধারে যাওয়ার জন্য চেলসি প্রায় ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পেয়েছিল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
তবে চেলসি তাকে দল থেকে তাড়াতে হন্যে হয়েই ঘুরছিল। ফেলিক্সকে ফিরিয়ে আনার আগ্রহ দেখিয়েছিল তার সাবেক ক্লাব বেনফিকাও। তবে সবচেয়ে সক্রিয় হয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসর।
ক্লাবটি কিছুদিন আগেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর চুক্তি নবায়ন করেছে। পাশাপাশি নতুন কোচ হিসেবে এনেছে অভিজ্ঞ পর্তুগিজ কোচ জর্জ জেসুসকে। শিরোপা জেতার লক্ষ্যে তারাই ফেলিক্সের পেছনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফেলিক্সকে বিক্রি করতে পারলে চেলসি তাদের আগের খরচের বেশিরভাগটাই তুলে আনতে পারবে। একইসঙ্গে নতুন খেলোয়াড় কেনার জন্যও আর্থিক জায়গা তৈরি হবে। চেলসির আগ্রহের তালিকায় আছে আরবি লাইপজিগের ফরোয়ার্ড জাভি সিমন্স। তবে নতুন কাউকে আনতে হলে চেলসিকে আরও কিছু খেলোয়াড় ছাড়তে হবে।