গোপালগঞ্জে সহিংসতায় মৃত্যু বেড়ে ৫


, আপডেট করা হয়েছে : 18-07-2025

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় মৃত্যু বেড়ে ৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক রমজান মুন্সী (৩২)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।



এর আগে বুধবারের সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন চারজন। তারা হলেন: মোবাইল ফোন যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা (৩৫), পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহা (২৫), দোকান কর্মচারী ইমন তালুকদার (১৭) ও নির্মাণ শ্রমিক রমজান কাজী (১৮)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন— সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০)।




ঢামেকে নিয়ে আসা রমজান মুন্সীর ভাই হীরা মুন্সী জানান, রমজান পেশায় রিকশাচালক। বুধবার দুপুরে সদর থানাপাড়া এলাকার সিনেমা হলের পাশে যাত্রী নামিয়ে ফেরার পথে সংঘর্ষে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে, এরপর রাতেই ঢাকায় আনা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।



সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এসব ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।


সংঘাতের শহরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার রাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারফিউয়ের মেয়াদ শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।


আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া কারফিউয়ের মধ্যে থমথমে হয়ে পড়া শহর এখন অনেকটা শান্ত। তবে শহর ও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকদের অনেকে এলাকা ছেড়ে গেছেন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার