সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পৌর এলাকার টিএন্ডটি রোডের ভাড়া বাসা থেকে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে দেবর নজরুল ইসলামও একই বাসায় পাশের কক্ষে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ।
নিহতরা হলেন: ময়না আক্তার (৩০), তার মেয়ে রাইসা (৬) ও ছেলে নীরব (২)। ময়নার স্বামী রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং ভালুকার রাসেল স্পিনিং মিলে চাকরি করেন।
জানা গেছে, ময়নার স্বামী রফিকুল ইসলাম পরিবারসহ পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টিএন্ডটি রোডে হায়উম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরে রফিকুল ঘরের দরজায় তালা দেখতে পান। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দুই সন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’