রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো জুলাই উইমেন্স ডে


, আপডেট করা হয়েছে : 14-07-2025

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো জুলাই উইমেন্স ডে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নারী অগ্রযাত্রা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার (১৪ জুলাই ২০২৫) সকালে এ আয়োজন করা হয়। সোমবার (১৪ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উদ্যোগে পালিত হয়েছে ‘জুলাই উইমেন্স ডে’। গত বছর এই দিনে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী নিজেদের আবাসিক হলের গেট ভেঙে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। সে দিনটির স্মরণে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সিনেট ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সিনেট ভবনে শুরু হয় আলোচনা সভা, যেখানে প্রায় ৪০০-৫০০ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব। আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. মোঃ ফরিদ উদ্দিন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইফতেখারুল আলম মাসউদ।


শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, অন্যান্য যেকোনো আন্দোলনের তুলনায় গত বছর মেয়েদের অবদান অনেক বেশি। মেয়েদের নির্যাতনের ছবিগুলোই মূলত আমাদের আন্দোলনে যেতে মোটিভেট করতো। মেয়েদের সেই অবদানগুলোকে স্মরণ করার জন্য আজকের দিনটা পালন করা হচ্ছে, তাই একজন মেয়ে হিসেবে আমি গর্বিত।


এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক ও আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, আগের যেকোনো ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের অংশগ্রহণ কম থাকলেও জুলাই বিপ্লবে তারা পুলিশের গুলির মুখে দাঁড়িয়েছেন, লড়াই করেছেন। তাদের এই সাহসী মানসিকতা আগামী অনেক প্রজন্মকে সাহস যোগাবে। মেয়েরা এখন থেকে যেকোনো আন্দোলনে এসে ছেলেদের কাতারে দাঁড়াবে। তাদের সেই অবদানগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য আজকের এই শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করছি আমরা।


আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমরা অসাধারণ মানুষদের কাজ দেখিনি, সাধারণ মানুষদের অসাধারণ কাজ দেখেছি। দল মত নির্বিশেষে সবাই তাদের অধিকার আদায়ের জন্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিল। একক কোনো ব্যক্তির মাধ্যামে এই অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়নি। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে এটি সফল হয়েছিল। নারীরা সমানে সমানে ছেলেদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্দোলন করে গেছে। আন্দোলন সংগ্রামসহ সকল জায়গায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য সমাজকে সুশিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার