সিগন্যালের ভুলে যাত্রী রেখে চলে গেলো ট্রেন, স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত


, আপডেট করা হয়েছে : 14-07-2025

সিগন্যালের ভুলে যাত্রী রেখে চলে গেলো ট্রেন, স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত

স্টেশন মাস্টারের ভুলে যাত্রী রেখে ট্রেন চলে গেলো অন্য স্টেশনে। এতে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন শত শত যাত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।


রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা রেলওয়ে স্টেশন এ ঘটনা ঘটে।


কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থেমে শিডিউল মোতাবেক যাত্রী ওঠানামা করানোর কথা। কিন্তু রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি পূর্ব-নির্ধারিত স্টেশনে না থেমে মাস্টারের ভুল সিগন্যালে চলে যায়। এতে করে শত শত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এক পর্যায়ে স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। পরে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামিয়ে চট্টগ্রামের যাত্রীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল বলেন, আমি লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত মাস্টারকে বলেছি ট্রেন চালানোর জন্য। তিনি ৮০২ চট্টলার স্থলে ৭০২ সুবর্ণ মনে করে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন নাঙ্গলকোটে থামাননি। কেবিন মাস্টারের বলার ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।


লাকসাম রেলওয়ের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, আমি ৮০২ চট্টলা ট্রেনের কাগজ লিখে দিয়েছি। ৭০২ সুবর্ণ ট্রেনের নাম আমি লিখিনি। আমরা দুজন মাস্টার ভুল করতে পারি কিন্তু ট্রেনের ড্রাইভার ভুল করতে পারে না। সেতো স্টপেজ দিতে পারতো। ট্রেনের গার্ডতো ভুল করতে পারে না, সেও ব্রেক করতে পারতো।


কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার