কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ভারত সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উপস্থাপন করলেও এটি আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত বৈধ এবং আইনসম্মত সংগ্রাম বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির।

শনিবার (২৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

শনিবার করাচির পাকিস্তান নৌ একাডেমিতে কমিশনিং প্যারেডে ভাষণকালে পাকিস্তান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, ‘ভারত যেটিকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দেয়, তা আসলে আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত স্বাধীনতার বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় কাশ্মীরি ভাইদের ত্যাগ, যারা ভারতের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।’

ফিল্ড মার্শাল মুনির অভিযোগ করেন, ‘সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে পাকিস্তান সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছালে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। তিনি সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তানের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে এর যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছে দেব এবং দেশ থেকে এ ব্যাধি চিরতরে দূর করব।’

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনরায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের আকাঙ্ক্ষার আলোকে কাশ্মীর সমস্যার ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ সমাধানকে পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।’

তিনি ভারতের দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধা জানান এবং যারা এখনও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সাহসকে সালাম জানান।

পাকিস্তান সেনাপ্রধান আরও বলেন, ভারতের দমন-পীড়ন কাশ্মীরি জনগণের মনোবল ভাঙতে পারবে না। পাকিস্তান রাজনৈতিক, নৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে কাশ্মীরিদের পাশে অটলভাবে থাকবে।

তিনি পবিত্র কোরআনের সূরা আলে ইমরানের ৫৪ নম্বর আয়াত থেকে উদ্ধৃতি দেন: ‘তারা চক্রান্ত করেছে, আল্লাহও পরিকল্পনা করেছেন, আর আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি কাশ্মীর সমস্যার ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের শত্রুরা দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে পাকিস্তান বহির্বিশ্বের হুমকি ও চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে ধাপে ধাপে উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

• সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

• উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার