ঢালিউড অভিনেতা শরিফুল রাজের আট বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একগুচ্ছ সিনেমা। নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছেন এ অভিনেতা। সফলও হচ্ছেন তাতে। এবারের কোরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছেন রাজের ‘ইনসাফ’ সিনেমা। নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের নির্দেশনায় রাজের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। যেখানে ভয়ংকর অবতার রূপে দেখে গেছে অভিনেতাকে।
পর্দায় রাজের অভিনয় প্রশংসার দাবিদার। নতুন সিনেমা ‘ইনসাফ’ নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ এবং হলে উপস্থিতি দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত এই অভিনেতা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অিভিনেতা বলেন, আমি দক্ষিণী না, বাংলাদেশি অভিনেতা। এই প্রসঙ্গে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই বাংলাদেশি গল্প বলার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। যখন কেউ আমাকে দক্ষিণী অভিনেতা ভেবে ফেলে, তখন মনে হয় আমি নিজেকে পুরোপুরি তুলে ধরতে পারিনি। তাই আমি সবসময় বলি, আমি বাংলাদেশের সন্তান, এই দেশের মাটির গন্ধ আমার অভিনয়ে থাকতে হবে। আমি বাংলাদেশের অভিনেতা।
ঈদে সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘ইনসাফ’ সিনেমার পক্ষে তিনি বলেন, ইনসাফ শুধুই অ্যাকশনধর্মী সিনেমা নয়, এই দেশের নানা অঙ্গনের দুর্নীতি, অবিচার আর নীরবতা নিয়ে কথা বলেছে সিনেমাটা। এতে একটা প্রতিবাদের ভাষাও আছে। সেটা এসেছে নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের ভেতর থেকে। আমি কেবল সেই চরিত্রটিকে পর্দায় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই চেষ্টা করার মধ্যেই আমার শিল্পীসত্তা খুঁজে পাই, আনন্দও পাই। আসলে এটাই তো আমার কাজ।
‘ইনসাফ’ সিনেমায় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করেন রাজ। তাকে নিয়ে রাজ বলেন, ফারিণ অনেক ভালো অভিনেত্রী, আগে থেকেই সেটা জানতাম। সিনেমায় ওকে আরও বেশি দেখতে চাই। এই সিনেমা যারাই দেখেছেন, এক বাক্যে প্রশংসা করেছেন ফারিণের। ফারিণের চরিত্রটি দারুণ সাহসী চরিত্র। সিনেমায় ওর আরও জোরালো হওয়া দরকার। আমি বিশ্বাস করি, ও যদি আরও বেশি সিনেমায় কাজ করে, তাহলে দুর্দান্ত কিছু দেবে ইন্ডাস্ট্রিকে।