এবার গণপরিবহনের সারিতে মেট্রো রেল


, আপডেট করা হয়েছে : 05-11-2023

এবার গণপরিবহনের সারিতে মেট্রো রেল

রাজধানী ঢাকার মেট্রো রেলের অভিজ্ঞতা ১০ মাস পূর্ণ করল। তবে বাস্তবে গণপরিবহন হিসেবে আজ থেকে মেট্রো রেলের আসল যাত্রা শুরু হচ্ছে। এই কয়েক মাস মেট্রো রেলযাত্রা ছিল অনেকটাই শখের। আজ থেকে শখের নিক্তি থেকে বাস্তবের পাল্লায় মাপা হবে আধুনিক এই গণপরিবহনকে।


 


আজ শনিবার উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রো রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুপুর ২টায় আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন তিনি। আগারগাঁও থেকে মেট্রো রেলে চড়ে যাবেন মতিঝিল। এর মধ্য দিয়ে মতিঝিল পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে মেট্রো রেলের যাত্রা শুরু হবে।


মতিঝিলে এমআরটি লাইন ৫-এর নির্মাণকাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে মতিঝিলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি।


 


উত্তরা-মতিঝিল পুরো পথে মেট্রো রেল চালু হওয়ায় এর প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেট্রো রেল সফল হলে সড়কে ছোট বা ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল কিছুটা কমবে।


একই সঙ্গে জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাবে। ঢাকা মহানগরীর যাতায়াতব্যবস্থায় কিছুটা গতিও যোগ হবে। এতে নগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। কিছু এলাকায় যানজট কমবে। যানজটের কারণে যে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে তার রাশ টানা যাবে।


 


গত ১০ মাস উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অনেকটা শখের পরিবহন হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে মেট্রো রেল। যতটা না প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি চোখে দেখতে মেট্রোতে চড়েছে লাখো যাত্রী। ১০ মিনিটের ট্রেন ভ্রমণের জন্য দু-তিন ঘণ্টাও লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল মানুষ। মেট্রোর সেই দিন আজ থেকে শেষ হতে যাচ্ছে। আগামীকাল রবিবার থেকে মেট্রো চলবে গণপরিবহনের মতো।


প্রথম ধাপে উত্তরা-আগারগাঁও ট্রেন চললেও এর কোনো প্রভাব ছিল না শহরের গণপরিবহনব্যবস্থায়। দ্বিতীয় ধাপে মেট্রো রেল ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকা মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টন ও মতিঝিলকে এক রেখায় যুক্ত করবে। সরাসরি মেট্রো রেলের প্রভাব বোঝা যাবে এবার। এরই মধ্য দিয়ে ঢাকার মূল গণপরিবহনব্যবস্থায় যুক্ত হবে মেট্রো রেল।


অবকাঠামো ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শামছুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আংশিক পথে চলায় এত দিন অফিস যাত্রীদের জন্য মেট্রো রেল তেমন আকর্ষণীয় ছিল না। মেট্রো রেলের প্রকৃত সুফল বিবেচনা করার সুযোগ গত ১০ মাসে তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, সময়টা বেশি লম্বা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশ আরো আগে চালু করতে পারলে ভালো হতো। যদিও এটা আমাদের জন্য নতুন প্রযুক্তিনির্ভর গণপরিবহন। তাই আমাদের ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি হওয়াটাও জরুরি ছিল।’



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার