শিক্ষার্থীদের ভিসা বিলম্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ভিসা নীতি নিয়ে নয়: খুরশেদ আলম


, আপডেট করা হয়েছে : 02-10-2023

শিক্ষার্থীদের ভিসা বিলম্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ভিসা নীতি নিয়ে নয়: খুরশেদ আলম

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলারবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব খুরশেদ আলম। তবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেন সহজেই ভিসা পান, এটা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।


ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব আজ রোববার তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে মার্কিন কনস্যুলারবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার ছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী জেনিন উইন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন। 


ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা ও ভ্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের ভিসার সাক্ষাৎকারের অপেক্ষার সময় কমানো ও আমেরিকার নাগরিকদের কনস্যুলার সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এসেছে। 


খুরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা পেতে বিলম্বের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে বলা হয়েছে। মার্কিন পক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে জানিয়ে বৈঠকে বলেছে, ভিসা দেওয়ার সময় অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। আগে যেটি অনেক দিন লাগত, এখন সেটি ছয় মাস লাগছে। 


ভিসার জন্য অপেক্ষার সময় আরও কমিয়ে আনতে তাঁদের বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়নি বলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব দাবি করেন।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু উপায়ে সম্পন্ন করতে সহায়তার অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার ২২ সেপ্টেম্বর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার এই প্রথম ঢাকা সফর। 

 

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভিসা নীতির বিষয়টি তোলা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, রেনা বিটারের এবার ঢাকায় আসা নিয়মিত সফরের অংশ। তিনি কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা আলোচনা করতে আসেননি। কনস্যুলার বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন। 


ভিসা নীতি কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, এমন প্রশ্নে খুরশেদ আলম বলেন, এটা মার্কিন পক্ষের ব্যাপার। সরকার তা জানতে উৎসাহ দেখায় না। 


মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে খুরশেদ আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দ্বিমত নেই। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মাদক পাচার ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগসহ অন্যান্য সমস্যার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। 


যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাজাপ্রাপ্ত আত্মস্বীকৃত খুনি এ এম রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। 


ঢাকায় মার্কিন কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি কনস্যুলারের মধ্যে পড়ে না।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার