পুলিশের অভিযানের মধ্যে তরুণীর ‘আত্মহত্যা’, মধ্যরাতে পল্লবীতে তুলকালাম


, আপডেট করা হয়েছে : 25-07-2023

পুলিশের অভিযানের মধ্যে তরুণীর ‘আত্মহত্যা’, মধ্যরাতে পল্লবীতে তুলকালাম

রাজধানীর পল্লবীর আদর্শনগর এলাকায় সোমবার রাতে পুলিশের অভিযানের সময় বৈশাখী নামের ১৭ বছরের এক কিশোরী মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


পুলিশের দাবি, কিশোরী ও তার মা মাদক ব্যবসায়ী। অভিযানের সময় মাকে ছাড়িয়ে নিতে বৈশাখী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। 


আর পরিবারের অভিযোগ, বৈশাখীর মা লাভলী আক্তারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বৈশাখীর সামনে তার মাকে নির্যাতন করে এবং চারতলা থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তিনতলার একটি ঘরে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। ঘরটির বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল।


তরুণীর মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার রাতে অভিযানের সময় ওই তরুণীকে পুলিশ গলাটিপে হত্যা করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। তারা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ফেলে।


পুলিশ বলছে, ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা মানলেও তাতে প্ররোচনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছে তার স্বজনরা।


এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, যে তরুণী মারা গেছেন, সেই বৈশাখী বেগম এবং তার মা লাভলী বেগম মাদক বিক্রি করেন। তাদের বাড়ি থেকে ২ কেজি গাঁজা ও কয়েকশ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। লাভলীকে গ্রেফতার করে থানায় আনার পথে তিনি পালিয়ে যান।


স্থানীয়রা বলছেন, বৈশাখীর বয়স ১৬ বছরের বেশি নয়, তবে বছর খানেক আগে তিনি বিয়ে করেন। পুলিশের ভাষ্য মতে, বৈশাখীর বয়স ১৯ বছর।


মাদক কেনাবেচার অভিযোগে বৈশাখীর বিরুদ্ধে চারটি এবং তার মা লাভলীর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।


ঘটনা সম্পর্কে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, বৈশাখীর মা লাভলী একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে আটটি মাদকের মামলা রয়েছে। আর বৈশাখীর বিরুদ্ধে চারটি মাদকের মামলা রয়েছে।


ওসি বলেন, পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে গাঁজা, ইয়াবাসহ লাভলীকে আটক করে। এ সময় লাভলীকে ছাড়িয়ে নিতে বৈশাখী বাসায় তিনতলায় গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।



  • সম্পাদক ও প্রকাশক: ইঞ্জিনিয়ার মো: রায়হানুল ইসলাম

  • উপদেষ্টাঃ মোঃ ইব্রাহীম হায়দার